মনিরুল ইসলাম  :  [২] দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা  আসনে কারা  সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হতে পারেন তা নিয়ে এখন আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রত্যাশীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের  সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয় ও সিনিয়র নেতাদের বাসায় । তাদের রাজনৈতিক জীবনবৃত্তান্ত নেতাদের কাছে জমা দিচ্ছেন। দেখা করছেন যদি হওয়া যায় সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য। 

[৩] একাধিক সূত্র জানিয়েছে,সবই কিছুই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর। রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সাথে গণভবনে এক বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকের পর সব খোলাস হবে স্বতন্ত্র সদস্যরা সংরক্ষিত আসনে কি ভাবে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচন করবেন। তাদের সংসদে ভূমিকা কেমন হবে। তারা কি স্বতন্ত্র থেকেই ভূমিকা রাখবেন। নাকি সরকারি দলের সাথে মিশে যাবেন। এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে নতুন মুখ প্রাধান্য পাবে। 

[৪]  সংবিধান অনুযায়ী একটি রাজনৈতিক দলের ৬ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য থাকলে ওই দল থেকে একজন প্রার্থী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হবেন। সে হিসেবে আওয়ামী লীগ ৩৭টি, এবং জাতীয় পার্টি ২টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পাবেন। ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য একত্রে জোট বাঁধলে অথবা ৬ জন করে জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিলে ১০টি আসনে স্বতন্ত্র মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার সুযোগ পাবেন।আরও দুটি ভোট অবশিষ্ট থাকবে। জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টির একটি করে আসন রয়েছে। ফলে তারা স্বতন্ত্র দুজন সংসদ সদস্যের সমর্থন দিয়ে প্রার্থী দিলে একজন মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার সুযোগ পাবেন। আর স্বতন্ত্ররা জোটবদ্ধ হতে না পারলে আইন অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এই আসনে প্রার্থী নির্বাচিত করবে 

[৫]  নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি  মাসের শুরুতে সংরক্ষিত  মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তারপর  আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় ফরম বিক্রি শুরু হবে। এরপর সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক বসবে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মনোনয়ন দিবে। এরা জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।

[৬]  এদিকে, জানা গেছে, আওয়ামীলীগের  সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে সংরক্ষিত  মহিলা  আসনে  কাকে কাকে সংসদ সদস্য করবেন  সে বিষয়ে কাজ করছেন। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে প্রত্যাশীদের মধ্যে দলের প্রতি  অতীতে অবদান কি রয়েছে।১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলের  দায়িত্ব নেওয়ার পর যাদের পাশে পেয়েছিলেন, এমন নারীনেত্রীদের খোঁজা হচ্ছে সদস্য হতে। 

[৭]  আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পরও শরিকদের জন্য আসন ছেড়ে দেওয়া  লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ফরিদুন্নাহার লাইলী, গাইবান্ধা-১ আসনে আফরুজা বারী এবং গাইবান্ধা-২ আসনের মাহবুব আরা গিনি সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হতে পারেন। এছাড়া  মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা,  ওয়াসিকা আয়শা খান,  আরমা দত্ত, নার্গিস রহমান, খাগড়াছড়ির বাসন্তী চাকমা, লাকী ইনাম,মারুফা আক্তার পপি, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা আলোচনায় রয়েছেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী